প্রকাশিত: Tue, Jun 13, 2023 11:01 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 7:05 AM

মাসিক ভাতা বাড়ানো ও নিয়মিত করার দাবি

চিকিৎসকদের আন্দোলনে উত্তাল বিএসএমএমইউ

মাজহারুল ইসলাম: মাসিক ভাতা ৫০ হাজার টাকা করা, বকেয়া ভাতা পরিশোধ এবং ভাতা নিয়মিত দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীন পোস্টগ্রাজুয়েট প্রাইভেট প্রশিক্ষণার্থী পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক। সূত্র: চ্যানেল ২৪

বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের সামনে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে জড়ো হতে থাকেন চিকিৎসকরা। এরপর সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএমএমইউ উপাচার্যের কার্যালয় ভবনের নিচে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এতে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএসএমএমইউ উপাচার্য। তারা বলেন, বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মাসিক ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে। 

আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানান, গত অর্থবছরে বাজেটের ৬ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অথচ তাদের ভাতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে না এবং নিয়মিতও প্রদান করা হচ্ছে না। রেসিডেন্টদের মতো নন-রেসিডেন্টদের বরাদ্দের টাকাও দেওয়া হয়নি, এটা প্রতারণা।

চিকিৎসকরা বলেন, ২০১৯-২০ সেশন থেকে নন-রেসিডেন্স কোর্সের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৯-২০ সেশনের স্টুডেন্টরা সেই ভাতা নিয়মিত পেলেও এর পরের বছর থেকেই তা অনিয়মিত হয়ে যায়। ২০২২-২৩ সেশনের নন-রেসিডেন্ট ডাক্তাররা ১২ মাসের মধ্যে মাত্র ৩ মাসের ভাতা পেয়েছে, বাকি ৯ মাসই বকেয়া। কোর্সে থাকাকালীন অন্য কোনো চাকরি, ডিউটি, চেম্বার ইত্যাদি করার অনুমতি না থাকায় এই কোর্সের ডাক্তাররা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ধার-কর্য করে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে ডাক্তারদের। সূত্র: রাইজিংবিডি

এ সময় চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল বলেন, আমরা আপনাদের দাবির বিষয়ে জেনেছি। ভিসি স্যারও জেনেছেন আপনাদের বিষয়ে। কিন্তু এভাবে আন্দোলন করে দাবি আদায় সম্ভব নয়। আপনারা ডা. মিল্টন হলে বসেন, সেখানে ভিসি স্যার আসবেন, অন্যথায় আপনাদের থেকে ৫ জন প্রতিনিধি ভিসি অফিসে পাঠান। স্যার আপনাদের কথা শুনবেন। সূত্র: ঢাকা পোস্ট

তবে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা রুদ্ধ বৈঠকের বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করেন। ভিসিকে চিকিৎসকদের কাছে আসার অনুরোধ করেন। তারা বলেন, নানা গল্প-কাহিনী বলে আমাদেরকে অনেক দমিয়ে রাখা হয়েছে, আজকে আমরা দমে যেতে এখানে আসিনি। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না